পর্দা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই ফরজ !!!
আল্লাহ নারীদের মত করে পুরুষদের হিজাব করতে বলেনি তার মানে এই নয় যে পুরুষদের হিজাব নেই।
নারীদের যেমন সৌন্দর্য ঢাকার জন্য পর্দা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে , ঠিক তেমনি পুরুষদেরকেও পর-নারীর
সৌন্দর্য দেখা থেকে নিজের চোখ ও অন্তরের পর্দা করতে বলা হয়েছে।
সত্যি কথা বলতে পুরুষের জন্যই পর্দার আয়াত প্রথমে নাযিল হয়েছে।
পরবর্তীতে নারীর পর্দার আয়াত নাযিল হয়েছে।
সুরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে(http://quran.com/24/30) মহান আল্লাহ্ বলেছেন-
"মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত
রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য
খুব পবিত্রতা আছে।"
এর পরের আয়াত অর্থাৎ সুরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াত(http://quran.com/24/31) মহান
আল্লাহ্ নাযিল করেছেন নারীদের পর্দার জন্য।
এখন কোন পুরুষের চোখ যদি কোন নারীর সৌন্দর্য দর্শন করার
অনুমতি পায়, তাহলে তাহল একমাত্র নিজের স্ত্রীর।
★★★ একজন পুরুষের জন্য নিজ স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন নারীর চেহারার
সৌন্দর্য দেখা বা অন্য কোন নারীর দেহ
আকৃতি অন্তরে অনুভব করা 'হারাম'। ★★★
এ সম্পর্কে মহানবী [স:] বলেছেন ,
"যদি কোন মহিলার দিকে হঠাৎ
নজর পড়ে যায় , তাৎক্ষণিক দৃষ্টি সরিয়ে নেবে এবং তার
দিকে আর দ্বিতীয়বার তাকাবে না।"
আল্লাহ পবিত্র কুরানের সুরা আন-নুরের
৩০নং আয়াতে নারীদের পর্দার ব্যাপারে নিষেধ করার
আগে পুরুষের চোখের পর্দা হেফাজত করার নির্দেশ
দিয়েছেন।
কেউ যখন তা জেনেও এই নিষেধ মান্য
করা থেকে নিজেকে দূরে রাখলো না তখন সে যেন
কুরআনে আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশ কে অবজ্ঞা করল।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ বলেছেনঃ
"এতে কোন সন্দেহ নেই যে,
যারাই আমার আয়াত সমুহকে অবজ্ঞা করবে,
আমি তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করব।
তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আমি সেখানে নতুন
চামড়া দিব, যাতে তারা আযাব পূর্ণভাবে আস্বাদন
করতে থাকে।
নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী।
(সুরা আন নিসাঃ ৫৬)(http://quran.com/4/56) ৷
Collected
,
উল্লেখ্য: " যে রাসূল সাঃ এর আদেশ মানছে, সে মূলত আল্লাহর
আদেশই মানছে "— সূরাহ নিসা: ৮০
অনুরুপভাবে ,
" আর যে রাসূল সাঃ এর আদেশ মানল না, সে আল্লাহর আদেশেরই
অবাধ্য হল "— বুখারী, মুসলিম ৷
[courtesy-https://www.facebook.com/akhiraterjibon/photos/a.781286215255627.1073741836.241481935902727/876352915748956/?type=1&theater]
No comments:
Post a Comment